মালয়েশিয়ায় বৈধ হচ্ছে মাদকের ব্যক্তিগত ব্যবহার
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অল্প পরিমাণ মাদক কাছে রাখা এবং ব্যবহারের জন্য অপরাধের দণ্ড তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে মালয়েশিয়া। মাদক ব্যবহার বৈধ করা প্রসঙ্গে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুলকেফলি আহমেদ বলেছেন, সরকার এ ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার নীতি’ নিয়ে আসছে। মেডিক্যাল গ্রুপ বলছে, এই উদ্যোগ মাদকসেবীদের কারাভোগ ও দারিদ্রতার চক্র থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় বর্তমানে মাদকবিরোধী আইন বেশ কঠোর। প্রচলিত আইনে অল্প পরিমাণ গাঁজা, হেরোইন বা কোকেইন রাখলেও যে কেউ মাদক পাচারে অভিযুক্ত হতে পারে। এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তিও হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে মাদকের ব্যবহার বৈধ করা হলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এটি হবে একটি বিরল পদক্ষেপ। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ সরকারই মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য কঠোর দণ্ড রাখার পক্ষপাতী।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুলকেফলি আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একজন মাদকসেবীকে রোগী হিসেবে দেখা হবে (অপরাধী হিসেবে নয়)। নেশাগ্রস্ততার রোগ থেকে আমরা তাকে মুক্ত করতে চাই।’
তিনি বলেন, এর অর্থ এই নয় যে মালয়েশিয়া মাদককে বৈধতা দিচ্ছে। মাদক পাচার অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তবে সরকারের এ-সংক্রান্ত নীতি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়া সরকারের মাদকের ব্যক্তিগত ব্যবহারকে বৈধতা দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও মেডিক্যাল গ্রুপ। মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাকাডেমি অব মেডিসিন অব মালয়েশিয়া মাদক ব্যবহার নিয়ে বহু দিন ধরে জনস্বাস্থ্যমূলক উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রুপ দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবহারকে অপরাধের পর্যায়ে ফেলায় বহু মাদক ব্যবহারকারী চিকিৎসা নিতে গিয়ে শাস্তির ভয় পায়। সরকারের চলমান নীতি মাদকসেবীদের জন্য কারাভোগ ও দারিদ্র্যের একটি চক্র তৈরি করেছে।
এ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন জানান, দেশটির কারাগারে বন্দি ৭০ হাজার মানুষের বেশিরভাগই মাদকসেবী।